মালদা

আর্থিক অনটনের কারণে চিকিৎসার অভাব, শিকল বন্দী অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ মা

হাতে-পায়ে শেকল বাধা। তাকে দেখতে ভিড় পথ চলতি সাধারণ মানুষের। না সে কোন জন্তু-জানোয়ার নয়। মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতী। শুক্রবার মালদা আদালত চত্তরে এই দৃশ্য দেখা গেলো। অসহায় তার মা তাকে নিয়ে যাবে চিকিৎসা করানোর জন্য বহরমপুরের মানসিক হাসপাতালে। বাধা হয়েছে আর্থিক অবস্থা। বাধ্য হয়ে তারা এলাকার বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছেন। জানা যায়, পুরাতন মালদার মুচিয়ার বাসিন্দা ওই যুবতী নাম প্রিয়া বিশ্বাস। বহু বছর আগে তার বাবা মারা গিয়েছে। মা কনিকা বিশ্বাস ও ভাই বিদ্যুৎ বিশ্বাসের সাথে বাড়িতে থাকে। মা লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। ভাই ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে। 

এবিষয়ে ঐ যুবতীর মা কণিকা বিশ্বাস জানান, বছর পাঁচেক আগে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় হঠাৎ করে মানসিক ভারসাম্য হারায় তার মেয়ে। এরপর থেকে যতদিন গেছে তার অবস্থার অবনতি হয়েছে। বর্তমানে সে ভয়ংকর উন্মাদ। আর সেই কারণে বাধ্য হয়ে তার হাত-পা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে বাধ্য হন তারা। দিনের পর দিন ধরে চরম অমানবিক অবস্থায় জন্তু-জানোয়ারের মতো রয়েছে এই যুবতী। আর্থিক অনটনের কারণে জোটেনি চিকিৎসা। আর সেই কারণেই চিকিৎসার জন্য এবার স্থানীয় বিধায়ক এর দ্বারস্থ হয়েছেন কনিকা দেবী। 

এবিষয়ে ঐ যুবতির প্রতিবেশী জগৎপতি রায় জানান, ঐ যুবতি লোকজনকে মারধর করত। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত। ফলে যুবতির পরিবারকে হয়রানি হতে হত। এই কারণে যুবতির মা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। 

এবিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক ভুপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন গোটা বিষয়টি তিনি জানেন। অনেকদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে রয়েছে ওই যুবতী। এখানকার হাসপাতালে তারা গিয়েছিল সেখান থেকে ওই যুবতীকে বহরমপুর মানসিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু বহরমপুর যেতে হলে আদালতের নির্দেশ লাগে আর সেই কারণেই তাদের আদালতে নিয়ে এসেছিলেন। এবার চিকিৎসার জন্য তাকে বহরমপুর পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে তিনি দ্রুত ওই যুবতী সুস্থ হোক তা কামনা করেন বিধায়ক ভুপেন্দ্র নাথ হালদার।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে 

https://www.youtube.com/embed/L3QK-WCJjdQ